তোমরা আগুনের ফুলকি ছিটিয়ে দাও ওদের গায়ে ক্রিকেটে ব্যাট-বল-ফিল্ডিং আর টস জিতে। শরীরী ভাষায় থাকবে দয়া দাক্ষিণ্য ভাব। তবে দয়ার প্রশ্নই আসবে না। তেজি বাঘের ভয়াল চোখ, আকাশ ফাটানো বিকট গর্জন আর অসহ্য থাবা দিয়ে বুঝিয়ে দাও বাংলাদেশি বাঘের তেজ। সাথে এও বলে দিও, ‘আমরা এমনিতে রেগে যায় না। তবে কেউ আঘাত করলে তাকে ষোলোআনা বুঝিয়ে দিতেও ছাড়ি না।ইতিহাস ঘেটে দেখুন; এটাই দেখতে পাবেন।
টপটপ উইকেট পড়বে আর ক্ষিপ্রবাঘের তেজ নিয়ে বল কুড়িয়ে পাঠিয়ে দেবে মুশফিকের কাছে দুরন্ত গতিতে। ১১ জন ক্যাঙ্গারু হা হয়ে চেয়ে দেখবে; আর মনে মনে বলবে, একি হচ্ছে রে। বাঘের গর্জনেতো মাঠে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। চল পালা পালা। এভাবে পরাজয়ের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে জ্বলবে ওদের ফোসকা পড়া হৃদয়ে। আর মরার ওপর খড়ার ঘা হয়ে নিজেদের পরাজয়ের মহাকাব্য লিখবে বিশ্বের সব বড় বড় মিডিয়াম্যানরা। সমালোচনার ঝড়ে নিতিয়ে পড়বে তারা। ক্যাঙ্গারু হয়ে যাবে খেকশিয়াল!! আর হুঁক্কাহুয়া করে চেচাতে চেচাতে ভয়ে পালিয়ে বেড়াবে দ্বিগবিদিগ। পানির জন্য হাহাকার করবে। একবার এদিকপানে তাকাবে আরেকবার ওদিকপানে তাকাবে। কিন্তু চারদিক শোঁ শোঁ করা মুরুভূমির গরম বাতাস বিস্ফোরিত হয়ে বিধবে তাদের তৃষ্ণার্ত গলায়। তবুও একফোটা পানি জুটবে না কপালে।
এমনই সাহসী প্রতিটি পদক্ষেপ আর তেজ নিয়ে আজ লড়বে টাইগাররা। সৃষ্টিকর্তার অপার করুণা বর্ষিত হোক ঝর্ণাধারার অফুরন্ত কলতানের মতো।
========